
ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার
এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রাম-এর ক্যানসার কেয়ার সেন্টার
এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রাম-এর ক্যানসার কেয়ার সেন্টার ক্যানসার রোগীদের জন্য সমন্বিত ও অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। রেডিয়েশন অনকোলজি, মেডিকেল অনকোলজি, সার্জিক্যাল অনকোলজি এবং পেইন ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিভাগের মাধ্যমে আমরা প্রাথমিক প্রতিরোধ থেকে জটিল ক্যানসারের চিকিৎসা পর্যন্ত সকল পরিষেবা একই ছাদের নিচে নিশ্চিত করি।
সেবার বৈশিষ্ট্য
- অত্যাধুনিক প্রযুক্তি: LINAC HD-VERSA Signature রেডিওথেরাপি মেশিন (চট্টগ্রামে প্রথম) সহ HEXA POD টেকনোলজি, যা টিউমারে নির্ভুলভাবে বিকিরণ প্রয়োগ করে।
- বহু-বিভাগীয় টিম: অভিজ্ঞ ক্লিনিক্যাল অনকোলজিস্ট, মেডিকেল অনকোলজিস্ট, সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে চিকিৎসা পরিকল্পনা।
- ২৪/৭ জরুরি সেবা: ইনপেশেন্ট, আউটপেশেন্ট ও ডে কেয়ার ইউনিটের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যত্ন।
প্রধান বিভাগসমূহ
১. রেডিয়েশন ও ক্লিনিক্যাল অনকোলজি
২. মেডিকেল অনকোলজি
৩. সার্জিক্যাল অনকোলজি (অনকো সার্জারি)
৪. পেইন অ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার
ক্যানসারের ধরন ও চিকিৎসা
- স্তন ক্যানসার: লাম্পেক্টমি, ম্যাস্টেক্টমি, কেমোথেরাপি, হরমোন থেরাপি।
- জরায়ু মুখের ক্যানসার: প্যাপ স্মিয়ার স্ক্রিনিং, রেডিয়েশন, সার্জারি।
- কলোরেক্টাল ক্যানসার: কোলনোস্কপি, ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি, টার্গেটেড থেরাপি।
- ফুসফুসের ক্যানসার: ব্রঙ্কোস্কপি, কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি।
- মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের টিউমার: স্টেরিওট্যাকটিক রেডিওসার্জারি (SRS)।
রেডিয়েশন থেরাপির প্রকারভেদ
১. ৩ডি কনফরমাল রেডিওথেরাপি (3D-CRT): টিউমারের আকৃতির সাথে মিল রেখে বিকিরণ প্রয়োগ।
২. ইনটেনসিটি মডিউলেটেড রেডিওথেরাপি (IMRT): মাল্টি-অ্যাঙ্গেল থেকে ভ্যারিয়েবল ইনটেনসিটির বিকিরণ।
৩. ভলিউমেট্রিক আর্ক থেরাপি (VMAT): রিয়েল-টাইম এডজাস্টমেন্টের মাধ্যমে দ্রুত চিকিৎসা।
৪. প্যালিয়েটিভ রেডিয়েশন: ব্যথা ও লক্ষণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
যেসব রোগের চিকিৎসা করা হয়
আমাদের পরামর্শ সেবাগুলো বহুমাত্রিক ও উপ-বিশেষায়িত ভিত্তিতে প্রদান করা হয়, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
-
সাধারণ অনকোলজি
-
স্তন ক্যান্সার
-
ফুসফুস ক্যান্সার
-
কোলোরেক্টাল ক্যান্সার
-
হেপাটোবিলিয়ারি ও অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার
-
মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সার
-
ইসোফ্যাজিয়াল ক্যান্সার
-
স্নায়ুবিক ক্যান্সার
-
মূত্রজনিত ক্যান্সার
ক্যান্সার ও প্রতিরোধ
ক্যান্সার একটি ধরণের রোগ যা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির মাধ্যমে ঘটে। আপনার শরীরে ট্রিলিয়ন সংখ্যক কোষ রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন রকম কাজ করে থাকে। এই কোষগুলো একটি নির্দিষ্ট জেনেটিক কোড অনুসরণ করে, যা তাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। যখন কোনো কোষের জেনেটিক কোড ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা পরিবর্তিত হয়, তখন সেই কোষ অপ্রত্যাশিতভাবে আচরণ করতে পারে, যেমন তার নির্দিষ্ট কাজগুলো না করা এবং অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া।
এমন হলে কোষগুলো বাড়তে বাড়তে একধরনের দলা বা টিউমার তৈরি করতে পারে। টিউমার সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে: সৌম্য (benign) এবং ঘাতক (malignant)। যদি কোনো টিউমার সীমিত আকারে বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে না পড়ে, তাহলে তাকে সাধারণত সৌম্য বলা হয়। এ ধরণের টিউমার ক্যান্সার নয় এবং তুলনামূলকভাবে কম বিপজ্জনক।
ঘাতক টিউমার তখন হয় যখন ক্যান্সার কোষগুলো শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে, যাকে মেটাস্টেসিস (metastasis) বলে। তখন এই কোষগুলো স্বাভাবিক কোষ ধ্বংস করে দেয়। এর ফলে স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে এবং যদি চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে জীবনযাত্রার মান দ্রুত খারাপ হয়ে যেতে পারে।
ক্যান্সারের ১০০-রও বেশি ধরন রয়েছে এবং কিছু ক্যান্সার যেমন লিউকেমিয়া (leukemia) টিউমার তৈরি করে না।
ক্যান্সার ফ্লু বা সাধারণ সর্দির মতো ছোঁয়াচে নয়। আপনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে ক্যান্সার আক্রান্ত হবেন না। যেহেতু এটি কোষের মিউটেশনের ফলাফল, তাই প্রশ্ন আসে — ক্যান্সার কি প্রতিরোধ করা যায়?
সাধারণত বলা হয়ে থাকে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অভ্যাস পরিহার করার মাধ্যমে ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব।
উদাহরণস্বরূপ:
-
ধূমপান করবেন না — কিছু গবেষণায় ধূমপানের সঙ্গে ক্যান্সারের সম্পর্ক পাওয়া গেছে
-
নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত বা সংরক্ষিত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। যেমন: হ্যাম, বেকন, লাঞ্চন মিট, নোনা মাছ বা আচারযুক্ত সবজি
-
সক্রিয় থাকুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন
-
অতিরিক্ত তাপে রান্না (যেমন বারবিকিউ বা রোস্টিং) এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে খাবারে কারসিনোজেন (cancer-causing agent) তৈরি হতে পারে
ডাক্তারদের তালিকা
আমাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, চিকিৎসক এবং সার্জনদের দল থেকে সেরা বিশেষজ্ঞদের বেছে নিতে আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারি।
টেস্ট/ প্রক্রিয়া / অস্ত্রোপচার, আপনার রিপোর্ট এবং বিলিং সংক্রান্ত অনুসন্ধানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো:
- টেস্ট/ ইনভেস্টিগেশন:
- টেস্ট/ ইনভেস্টিগেশনের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে, অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট বহির্বিভাগের (OPD) ফ্রন্ট ডেস্কে কল করুন।
- আপনার ল্যাব পরীক্ষার নমুনা হসপিটালের অ্যাট্রিয়ামে অবস্থিত“স্যাম্পল কালেকশন রুম”-এ জমা দিতে হবে।“স্যাম্পল কালেকশন রুম” কার্যদিবসগুলোতে (শনিবার-বৃহস্পতিবার) সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার ও ছুটির দিনে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
- পেমেন্ট রসিদ দেখিয়ে পরীক্ষার রিপোর্ট “রিপোর্ট ডেলিভারি রুম” থেকে সংগ্রহ করা যাবে। পরীক্ষা করার ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট সংগ্রহ না করলে হসপিটাল দায়ী থাকবে না। “রিপোর্ট ডেলিভারি রুম” হসপিটালের অ্যাট্রিয়ামে অবস্থিত এবং কার্যদিবসগুলোতে (শনিবার-বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টা থেকে রাত ৮.৩০টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার ও ছুটির দিনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
- পেমেন্ট রসিদ ছাড়া আপনি আপনার পরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন না। যদি আপনার রসিদ হারিয়ে যায়, তবে আপনি আমাদের বিলিং এক্সিকিউটিভদের (কর্পোরেট ডেস্ক, অ্যাট্রিয়াম – লেভেল ১) কাছ থেকে একটি ডুপ্লিকেট কপি সংগ্রহ করতে পারেন।
- রিপোর্ট ডেলিভারি রুম থেকে ১০০ টাকা অতিরিক্ত চার্জ দিয়ে পরীক্ষার রিপোর্টের ডুপ্লিকেট কপির জন্য অনুরোধ করতে পারেন।
- প্রক্রিয়া ও সার্জারি:
- আপনি যদি কোনো চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় বা সার্জারি করাতে আগ্রহী হন, তবে প্রথমে আমাদের সংশ্লিষ্ট পরামর্শকের সাথে দেখা করুন।
- পরামর্শক খুঁজতে, "Find a Consultant" পৃষ্ঠায় যান এবং অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য "Make an Appointment" এ যান।
- অন্তর্বিভাগ রিপোর্ট:
- হসপিটাল থেকে ছাড়ার সময় রোগীকে একটি ডিসচার্জ সামারি দেওয়া হয়। ডিসচার্জ সামারি হলো রোগীর হসপিটালে ভর্তির সময়কার ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ। এতে রোগীর অভিযোগ, ডায়াগনস্টিক ফলাফল, প্রদত্ত থেরাপি এবং রোগীর প্রতিক্রিয়া এবং ডিসচার্জের রেকমেন্ডেশনগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে।
- আরো বিস্তারিত অন্তর্বিভাগ মেডিকেল রিপোর্টের অনুরোধ করতে বা বীমা দাবি করতে, আমাদের মেডিকেল রিপোর্ট রেফার করুন।
চার্জ সংক্রান্ত প্রশ্নের জন্য, আমাদের বিলিং বিভাগের (কর্পোরেট ডেস্ক, অ্যাট্রিয়াম – লেভেল ১) সাথে যোগাযোগ করুন বা আমাদের বিলিং এক্সিকিউটিভদের কল/ইমেল করুন:
মোঃ রাশাদুল ইসলাম,
ম্যানেজার – বিলিং,
ফোন: +৮৮-০২-৪১৩৮০৩৫০-৬১; এক্সট-১০৩১
(সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত – ছুটির দিন ব্যতীত)