Welcome to Evercare Hospital Dhaka.
Brain Tumor: Cure with Proper Treatment

ব্রেইন টিউমার হলো মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক কোষের বৃদ্ধি, যা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে। এটি দুটি ধরণের হতে পারে— (Benign), যা ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং সাধারণত ক্ষতিকর নয়, এবং (Malignant), যা দ্রুত বৃদ্ধি পায় ক্ষতিকর এবং শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।।
ব্রেইন টিউমারের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে জেনেটিক মিউটেশন, মস্তিষ্কে তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব, এবং কিছু ভাইরাল সংক্রমণকে এটি হওয়ার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ধরা হয়।
মস্তিষ্ক (Brain) মাথার শক্ত খুলি অর্থাৎ হাড়ের বদ্ধ প্রকোষ্ঠে সুরক্ষিত। টিউমার যখন বদ্ধ প্রকোষ্ঠে ক্রমান্বয়ে বড় হতে থাকে তার কারণে ব্রেইনের প্রেসার বেড়ে যায়। মস্তিষ্কের ক্ষমতা লোপ পেতে থাকে। মস্তিষ্কের যে অংশে টিউমার হয় সেই অংশের কার্যকারিতা বিনষ্ট হতে থাকে এবং সে অনুযায়ী উপসর্গ হয়। ব্রেইনে টিউমার ধরা পড়লে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। যত দ্রুত অপারেশন বা সার্জারি এর মাধ্যমে টিউমার অপসারণ হবে ততই ব্রেইন নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
উপসর্গ সমূহ
- মাথাব্যথা
- বমিভাব বা বমি হওয়া
- খিঁচুনি
- দৃষ্টিশক্তির সমস্যা
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
- স্মৃতিভ্রংশ বা বিভ্রান্তি বা এলোমেলো কথা বলা
- শরীরের কোনো অংশ দুর্বল বা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়া
চিকিৎসা ও নিরাময়
যদি কোনো ব্যক্তির উপরে উল্লেখিত উপসর্গগুলো দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত নিউরোসার্জন বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সময়মতো রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা গ্রহণ করলে ব্রেইন টিউমারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসা নির্ভর করে টিউমারের ধরণ, আকার এবং অবস্থানের ওপর। প্রধান চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে সার্জারি, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি এবং টার্গেটেড থেরাপি। আধুনিক চিকিৎসার ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা সুস্থ জীবনে ফিরতে পারেন।
লেখকঃ
প্রফেসর (কর্নেল) ডাঃ মুঃ আমিনুল ইসলাম (অবঃ)
সিনিয়র কনসালটেন্ট