হোম
প্রকাশনা
banner

কার্ডিওথোরাসিক অ্যানেস্থেসিয়া

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার কার্ডিওথোরাসিক অ্যানেস্থেসিয়া কেয়ার সেন্টার

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার কার্ডিওথোরাসিক অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগ একটি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ দলের সমন্বয়ে পরিচালিত, যারা সর্বোচ্চ মানের অ্যানেস্থেসিয়া সেবা দিয়ে থাকেন। আমাদের আধুনিক অপারেশন থিয়েটারে (OT) হৃদরোগ ও রক্তনালির জটিল সার্জারির সময় রোগীদের নিরাপদ ও কার্যকর অ্যানেস্থেসিয়া সাপোর্ট দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ কার্ডিওথোরাসিক ও ভাসকুলার সার্জারি সেন্টার হিসেবে, আমাদের কার্ডিয়াক অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা চিকিৎসক দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাঁরা শুধু হৃদরোগ সংক্রান্ত সার্জারিতেই নয়, অন্যান্য সার্জারিতেও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অ্যানেস্থেসিয়া সেবা নিশ্চিত করেন।

আমাদের বিশেষজ্ঞরা প্রতিটি রোগীর জন্য উপযুক্ত অ্যানেস্থেসিয়া পরিকল্পনা তৈরি করেন, যা রোগী ও সার্জনের সঙ্গে পরামর্শ করে নির্ধারিত হয়।


আমাদের সেবা

আমাদের লক্ষ্য সার্জারির পুরো সময়ে রোগীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও স্বস্তি নিশ্চিত করা। এজন্য আমরা অত্যাধুনিক অ্যানেস্থেসিয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করি, যেমন ট্রান্স-ইসোফেজিয়াল ইকোকার্ডিওগ্রাফি (TEE), যা মনিটরিংয়ে ব্যবহার করা হয়।

আমাদের কার্ডিয়াক অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা সার্জারির সময় হার্ট-লাং মেশিন পরিচালনা করেন এবং রোগীর শারীরবৃত্তীয় অবস্থার নিয়ন্ত্রণে রাখেন। তাঁরা জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী রোগের ব্যবস্থাপনায়ও বিশেষজ্ঞ, যেমন –

  • ভালভের সমস্যা
  • প্রাপ্তবয়স্কদের জন্মগত হৃদরোগ
  • কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিউর

আমাদের দায়িত্ব শুধু সার্জারির সময়ই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সার্জারির আগে রোগীর প্রস্তুতি, অপারেশনের সময় মনিটরিং এবং পরবর্তী পর্যবেক্ষণের দিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়।

আমাদের কার্ডিওথোরাসিক অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা হসপিটালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (ICU) তত্ত্বাবধান করেন এবং অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার আগে প্রত্যেক রোগীর প্রি-অ্যানেস্থেসিয়া চেক-আপ (PAC) করা হয়

যেসব রোগের চিকিৎসা করা হয়

প্রি-অ্যানেস্থেসিয়া চেক-আপ (PAC) হলো নিরাপদ অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার জন্য একটি প্রয়োজনীয় ধাপ। যেকোনো ধরনের অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার আগে রোগীকে একজন অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট পরীক্ষা করেন।

  • প্রি-অ্যানেস্থেসিয়া চেক-আপে যা করা হয়:
    রোগীর পূর্বের স্বাস্থ্য ইতিহাস জানা ও শারীরিক পরীক্ষা
  •  প্রয়োজন অনুযায়ী ল্যাব টেস্ট, এক্স-রে বা অন্যান্য পরীক্ষা
  • রোগীর জন্য নির্ধারিত কিছু প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ
  • রোগীকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া ও তার সম্মতি (কনসেন্ট) নেওয়া

এটি নিশ্চিত করে যে রোগী নিরাপদভাবে অ্যানেস্থেসিয়া নিতে পারবেন এবং সার্জারির ঝুঁকি কম থাকবে।

ডাক্তারদের তালিকা

আমাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, চিকিৎসক এবং সার্জনদের দল থেকে সেরা বিশেষজ্ঞদের বেছে নিতে আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারি।

ডা. নিয়াজ আহমেদ

ডা. নিয়াজ আহমেদ

কোঅর্ডিনেটর ও সিনিয়র কনসালটেন্ট

কার্ডিওথোরাসিক অ্যানেস্থেসিয়া

অপারেশনের সময় অ্যানেস্থেসিয়া কীভাবে দেওয়া হবে, তা নির্ভর করে আপনার সার্জারির ধরন ও প্রয়োজনের ওপর।

  • লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া সাধারণত শরীরের নির্দিষ্ট অংশে ইনজেকশন দিয়ে দেওয়া হয়। কখনো কখনো নাকের ড্রপ বা স্প্রে হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
  • কখনো কখনো আপনাকে আরাম দিতে সেডেটিভ ওষুধ (লোকাল বা রিজিওনাল অ্যানেস্থেটিক) দেওয়া হতে পারে, যা আপনাকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারে। স্পাইনাল অ্যানেস্থেসিয়া মেরুদণ্ডের চারপাশের তরলপূর্ণ জায়গায় ছোট সূচের মাধ্যমে দেওয়া হয়। আর এপিডিউরাল অ্যানেস্থেসিয়া এটি স্পাইনাল ফ্লুইডের বাইরের আবরণে দেওয়া হয়।
  • জেনারেল অ্যানেস্থেসিয়া মাস্ক বা ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে গলায় একটি টিউব বসানো হয়, যা অক্সিজেন ও অ্যানেস্থেসিয়া গ্যাস সরবরাহ করতে সাহায্য করে। টিউবটি বসানোর জন্য মাসল রিলাক্স্যান্ট (পেশি শিথিলকারী ওষুধ) ব্যবহার করা হয়। সার্জারি শেষ হওয়ার আগে এই টিউব সরিয়ে ফেলা হয়।
  • প্রক্রিয়া চলাকালে হার্ট রেট, রক্তচাপ, অক্সিজেন লেভেল ও শ্বাস-প্রশ্বাস সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করা হয়। যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেন।
  • অপারেশনের পর সাময়িকভাবে বিভ্রান্ত লাগতে পারে বা মুখ শুকিয়ে যেতে পারে। তবে ওষুধের প্রভাব কমার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক অনুভূতি ফিরে আসে।

টেস্ট/ প্রক্রিয়া / অস্ত্রোপচার, আপনার রিপোর্ট এবং বিলিং সংক্রান্ত অনুসন্ধানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো:

  • টেস্ট/ ইনভেস্টিগেশন:
    • টেস্ট/ ইনভেস্টিগেশনের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে, অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট বহির্বিভাগের (OPD) ফ্রন্ট ডেস্কে কল করুন।
    • আপনার ল্যাব পরীক্ষার নমুনা হসপিটালের অ্যাট্রিয়ামে অবস্থিত “স্যাম্পল কালেকশন রুম”-এ জমা দিতে হবে।“স্যাম্পল কালেকশন রুম” কার্যদিবসগুলোতে (শনিবার-বৃহস্পতিবার) সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার ও ছুটির দিনে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
    • পেমেন্ট রসিদ দেখিয়ে পরীক্ষার “রিপোর্ট ডেলিভারি রুম” থেকে সংগ্রহ করা যাবে। পরীক্ষা করার ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট সংগ্রহ না করলে হসপিটাল দায়ী থাকবে না। “রিপোর্ট ডেলিভারি রুম” হসপিটালের অ্যাট্রিয়ামে অবস্থিত এবং কার্যদিবসগুলোতে (শনিবার-বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টা থেকে রাত ৮.৩০টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার ও ছুটির দিনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
    • পেমেন্ট রসিদ ছাড়া আপনি আপনার পরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন না। যদি আপনার রসিদ হারিয়ে যায়, তবে আপনি আমাদের বিলিং এক্সিকিউটিভদের (কর্পোরেট ডেস্ক, অ্যাট্রিয়াম - লেভেল ১) কাছ থেকে একটি ডুপ্লিকেট কপি সংগ্রহ করতে পারেন।
    • রিপোর্ট ডেলিভারি রুম থেকে ১০০ টাকা অতিরিক্ত চার্জ দিয়ে পরীক্ষার রিপোর্টের ডুপ্লিকেট কপির জন্য অনুরোধ করতে পারেন।
  • প্রক্রিয়া ও সার্জারি:
    • আপনি যদি কোনো চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় বা সার্জারি করাতে আগ্রহী হন, তবে প্রথমে আমাদের সংশ্লিষ্ট পরামর্শকের সাথে দেখা করুন।
    • পরামর্শক খুঁজতে, "Find a Consultant" পৃষ্ঠায় যান এবং অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য "Make an Appointment" এ যান।
  • অন্তর্বিভাগ রিপোর্ট:
    • হসপিটাল থেকে ছাড়ার সময় রোগীকে একটি ডিসচার্জ সামারি দেওয়া হয়। ডিসচার্জ সামারি হলো রোগীর হসপিটালে ভর্তির সময়কার ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ। এতে রোগীর অভিযোগ, ডায়াগনস্টিক ফলাফল, প্রদত্ত থেরাপি এবং রোগীর প্রতিক্রিয়া এবং ডিসচার্জের রেকমেন্ডেশনগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে।
    • আরো বিস্তারিত অন্তর্বিভাগ মেডিকেল রিপোর্টের অনুরোধ করতে বা বীমা দাবি করতে, আমাদের মেডিকেল রিপোর্ট রেফার করুন।
চার্জ সংক্রান্ত প্রশ্নের জন্য, আমাদের বিলিং বিভাগের (কর্পোরেট ডেস্ক, অ্যাট্রিয়াম - লেভেল ১) সাথে যোগাযোগ করুন বা আমাদের বিলিং এক্সিকিউটিভদের কল/ইমেল করুন:

তাসলিমুর রহমান:

এ জি এম - ফাইন্যানশিয়াল অপারেশন

ফোন: +৮৮-০২-৮৪৩১৬৬১-৫; এক্সট-১৩৫৩

(সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত - ছুটির দিন ব্যতীত)

ই-মেইল:taslimur.rahman@evercarebd.com